অভাব বোধই মানুষকে এগিয়ে দিয়েছে
নৃতত্ত্বের সংজ্ঞায় একমাত্র অভাব বোধই মানুষকে নানা ক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছে। সমাজের অভাব-বোধের মাত্রা থেকেই মানুষের সামাজিক গোষ্ঠির অগ্রগতি অনুমান করা যায়। অতীতে আদিবাসীদের আমরা অধিকতর সুখী দেখেছি, কেননা তাদের দৈনন্দীন জীবনে শুরুতে কোন অভাব ছিল না। আন্দামানে জারোয়াদের অভাব নেই বলেই তারা হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের চোখে অসুখী হলেও নিজেদের ঘেরাটোপে পরম তৃপ্তিতে জীবন যাপন করে। বিশ্বের সর্বত্রই, ‘অসভ্য’ থেকে মানুষের ‘সভ্য’ হয়ে ওঠার মুলে এই নৃতাত্ত্বিক প্রকরণ।
এটা সত্য এই সময়ের বাঙালি, আমরা, পরিবর্তনমুখী নই, বা আরো পরিষ্কার করে, আমরা অগ্রগতিতে আগ্রহী নই। শহুরে মুষ্টিমেয়’র কথা বাদ দিন। বাংলার অধিকাংশ মানুষ কি বাংলায় শিল্পায়নের অভাব বোধ করেন? বেশির ভাগ মানুষ কি বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অভাব বোধ করেন? রাজনীতিতে? শিক্ষা-দীক্ষায়? ধর্মচেতনায়?... আবার বলি মুষ্টিমেয়কে গুণবেন না। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরেই খুঁজে পাব আমাদের অগ্রগতি অথবা স্থবিরতার মুখ্য কারণ। এ আমার ব্যক্তিগত মত। এখানে এ নিয়ে বিতর্ক করা যায় না?
1 comment:
আমার ব্লগের লিঙ্ক-www.publishedactivity.blogspot.com
Post a Comment